শিরোনাম :

শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী

 শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী
Admin

পাকিস্তানে এক অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হবার পর বিরোধীদলীয় জোটের নেতা শাহবাজ শরিফ নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

পার্লামেন্টের ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে শাহবাজ শরিফের পক্ষে ভোট দেন ১৭৪ জন – জানান স্পিকারের দায়িত্বপালনকারী আইয়ায সাদিক।

শাহবাজ শরিফ হচ্ছেন পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন এবং এর পর পাকিস্তানে নতুন নির্বাচন হবে।

এর আগে শনিবার ভোররাতে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান – যিনি ২০১৮ সালে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নির্বাচনে জেতার পর প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি এবং ইমরান খানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারালেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, সোমবার পিটিআইয়ের এমপিরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন বয়কট করে পার্লামেন্ট থেকে ওয়াকআউট করেন। তারা পার্লামেন্ট থেকে গণ-পদত্যাগের কথাও ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পিটিআইয়ের প্রার্থী ছিলেন মাহমুদ শাহ কোরেশি – কিন্তু তাদের বয়কটের পর শাহবাজ শরিফ কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী

পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (পিএমএলএন)-এর নেতা ৭০ বছর বয়স্ক শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই এবং তিনি দেশটির সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

শাহবাজ শরিফ রোববার প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তার প্রার্থিতা জমা দেন। পাকিস্তানের অন্য বৃহৎ রাজনৈতিক দল পিপলস পার্টির বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারিও তার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন।

তবে ইমরান খান তার ক্ষমতাচ্যুতির জন্য “বিদেশী ষড়যন্ত্র”কে দায়ী করছেন। তিনি উৎখাত হবার পর সমর্থনে পাকিস্তানের বড় শহরগুলোতে বিশাল বিশাল মিছিল বের হয়েছে।

তার ক্ষমতাচ্যুতির আগে এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটে, ঘটনাপ্রবাহে হস্তক্ষেপ করে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতও ।

উনসত্তর বছর বয়স্ক ইমরান খান তার বিরুদ্ধে প্রথমে আনা একটি অনাস্থা প্রস্তাব “বিদেশী শক্তির প্রভাবে আনা হয়েছে” এ যুক্তি দেখিয়ে পার্লামেন্টে আটকে দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার। এর পর মি. খান ভেঙে দিয়ে এবং নতুন নির্বাচন দিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্যোগ প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু এর বিরুদ্ধে দেশটির বিরোধীদলগুলো সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে, আদালত মি. খানের পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করেন এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির আদেশ দেন।

অনাস্থা ভোটে পার্লামেন্টের ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জনই ইমরান খানের বিপক্ষে ভোট দেন।