শিরোনাম :

আট সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে

আট সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে
Admin

অনাস্থা ভোটে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পর দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। তবুও দেশটিতে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হচ্ছে না বলেই মনে করছেন অনেকেই। বরং বিশেষজ্ঞ মহলের মতে- এই সংকট আরো বাড়তে পারে। কারণ সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যেই পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ইমরান খান একজন ক্যারিসম্যাটিক লিডার। জনগণ তার পেছনে আছে। আমরা একটি নিরব বিপ্লবের দিকে এগুচ্ছি। আমরা নির্বাচন দিতে বলছি। আমরা নিশ্চিত করছি, পাকিস্তানে নির্বাচন হবে। এটা শাহবাজ শরিফের সরকারের ওপর নির্ভর করছে যে, তারা কতটা ক্ষয়ক্ষতি চায়। আমি মনে করি, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে। এই সরকার টিকবে না। 

ইতিমধ্যে জাতীয় পরিষদের স্পিকারের কাছে ইমরান খানের পিটিআই দলের ১২৩ জন আইনপ্রণেতা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ফাওয়াদ চৌধুরীও রয়েছেন। তিনি বলেন, বিদেশের পুতুল সরকারকে আমরা বৈধতা দেব না বলেই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

 

এদিকে, ইতোমধ্যে পাকিস্তানে ধারাবাহিক জনসভার কর্মসূচি শুরু করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত বুধবার রাতে পেশোয়ারে অনুষ্ঠিত সমাবেশের মাধ্যমে তিনি ধারাবাহিক কর্মসূচি করার ঘোষণা দেন। সমাবেশে ইমরান খান তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট নিয়ে মধ্যরাতে আদালত বসানোর সমালোচনা করেছেন। 

তিনি তার দলের দলছুট এমপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। এসময় ইমরান খান বলেন, কী অপরাধ করেছি আমি যে আপনারা রাত ১২ টায় আদালত বসালেন, আপনারা রাতের অন্ধকারে আদালত বসালেন। অথচ আমি কখনো কোনো প্রতিষ্ঠান বা আদালতের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কে দেইনি। 

পার্লামেন্টে তার হেরে যাওয়ার পর সমর্থকদের প্রতিক্রিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের জনগণ এভাবে আর কখনো রাস্তায় নামেনি। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে যে ‘এটা সত্তরের দশকের পাকিস্তান নয়। এটা নতুন পাকিস্তান। এখন সচেতন মানুষের পাকিস্তান, এটা সোশ্যাল মিডিয়ার পাকিস্তান।’

উল্লেখ্য, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার দলের সংসদ সদস্যদের দলত্যাগের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই এমপিরা যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের পদক্ষেপ চেয়েছেন ইমরান খান।