শিরোনাম :

বাঙ্গী চাষে সফল পাবনার কৃষকেরা

বাঙ্গী চাষে সফল পাবনার কৃষকেরা
Admin

বাঙ্গী একটি সুস্বাদু রসালো ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম- cucumismelo  এবং ইংরেজি নাম- muskmelon . বাংলায় এর কিছু প্রতিশব্দ আছে যেমন- খরমুজ, কাঁকড়, ও ফুটি। বেলে দোঁয়াশ মাটিতে ভালো জন্মে। এই বছর পাবনার সাঁথিয়া থানার হেঙ্গয়া, আফড়া. সামুকজানি. মঙ্গলগ্রাম, পুন্ডরিয়ার বিস্তৃর্ন মাঠে বাঙ্গীর আবাদ করেছে স্থানীয় কৃষকেরা। তারা রসুন এবং পিয়াজের জমিতেই বীজ রোপন করে। দ্বী-ফসলি হিসাবে এবার কৃষকেরা অনেক ভাল ফলন পেয়েছে। হেঙ্গুয়া গ্রামের মুনির সরদার বলেন,” আমার দেড় বিঘা জমি  হতে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার বাঙ্গী বিক্রি হবে। ইতিমধ্যে আমি, এক লক্ষ ষাট হাজার টাকার বাঙ্গী বিক্রি করেছি। বর্তমানে এক একটার মূল্য এক শত থেকে একশত বিশ টাকা। কয়েক দিন পরে এর দাম কিছুটা কমবে।” 

আফড়ার আবীর মোল্লা বলেন, আমার দশ শতক জমিতে উৎপাদিত পঞ্চাশ হাজার টাকার বাঙ্গী বিক্রি করেছি। রমজানে দাম ভাল থাকায় কৃষকেরা বেশি লাভবান হচ্ছে।

আক্কাস ব্যাপারী বলেন, আমরা চাকলা, সামুকজানি বাজার, আফড়া উত্তরপাড়া,চাকলা এবং পুন্ডুরিয়া হতে বাঙ্গী কিনে স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরনের পাশাপাশি ঢাকার বাজারে ও পাঠিয়ে থাকি। রোজার মাসে বাঙ্গীর চাহিদা থাকায় কৃষকের সঙ্গে আমরা ও কিছু পয়সা পাচ্ছি।

এটি কাঁচা থাকলে সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়। পুষ্টিগুন সস্পুর্ণ এই ফসলে ভিটামিন, ফলিক, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম বিদ্যমান। সবজি হিসাবে ও অনেকে বাঙ্গী খেয়ে থাকে। পুষ্টি বিষেশজ্ঞ সাদিয়া জাহান বলেন, রোজায় নিয়মিত বাঙ্গী খেলে লিভার ও যকৃত ভাল থাকবে এবং শরীর ঠান্ডা ও মন শান্ত থাকবে। 

সাঁথিয়ার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার গোস্বামী বলেন, উন্নত বীজ ও আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষকেরা আবাদ করলে ফলন আরো বেশি হত। আমাদের কাছে পরামর্শের জন্য অনেকে আসে। আমরা তাদের বীজ সংরক্ষন পদ্ধতি এবং উন্নত চাষ প্রনালীর কথা বলে থাকি।