শিরোনাম :

ফ্রান্সের বিপক্ষে অপেক্ষা ফুরাল না ক্রোয়াটদের

ফ্রান্সের বিপক্ষে অপেক্ষা ফুরাল না ক্রোয়াটদের
Admin
মৌসুম জুড়ে ক্লাব ফুটবলের ঠাসা সূচির চাপই হয়তো জেঁকে বসেছিল খেলোয়াড়দের শরীর-মনে। এরই ছাপ দেখা গেল গত বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্টের দ্বৈরথে। শেষ দিকে অবশ্য লড়াই কিছুটা জমে ওঠে। সমতা টেনে ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথম জয়ের কিছুটা আশাও জাগাল ক্রোয়েশিয়া। তাদের অপেক্ষা যদিও শেষ হলো না।

ক্রোয়েশিয়ার শহর স্প্লিতে নেশন্স লিগের ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। আদ্রিওঁ রাবিওর গোলে ফ্রান্স এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে সমতা টানেন আন্দ্রেই ক্রামারিচ।

দল দুটির ৯ বারের মুখোমুখি লড়াই এই নিয়ে তৃতীয়বার অমীমাংসিত রইলো। বাকি ছয়টি জিতেছে ফরাসিরা।

ব্যস্ত ক্লাব মৌসুম শেষ হতেই শুরু হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ব্যস্ততা। ১১ দিনের মধ‍্যে রয়েছে চারটি ম্যাচ। খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দিতে ডেনমার্কের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচের শুরুর একাদশের ১০টি পরিবর্তন এনেছেন ফ্রান্স কোচ।

আসরে প্রথম ম্যাচে হেরেছে ক্রোয়েশিয়াও, অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে। ওই ম্যাচের দলে ছয়টি পরিবর্তন করেছেন ক্রোয়েশিয়া কোচও।

দুই দলেই অনেক পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে মাঠের ফুটবলে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও তেমন ধার ছিল না। ১৮তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। সতীর্থের থ্রু বল ধরে এগিয়ে ছয় গজ বক্সে গিয়ে কোনাকুনি শট নেন আন্তে বুদিমির, কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ।

ফ্রান্স প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ৩৮তম মিনিটে। সতীর্থের থ্রু পাস ধরে দারুণ গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে মুসা দিয়াবির নেওয়া কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। পরের মিনিটে অগেলিয়া চুয়ামেনির দূর থেকে নেওয়া শটও ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচ।

প্রথমার্ধের অনেকটা সময় ঝিমিয়ে থাকা ফ্রান্স ৫২তম মিনিটে এগিয়ে যায়। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে রক্ষণচেরা থ্রু বল বাড়ান উইসাম বেন ইয়েদের। গতিতে ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন ইউভেন্তুস মিডফিল্ডার আদ্রিওঁ রাবিও।

৭০তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় দারুণ প্রচেষ্টা চালান লুকা মদ্রিচ। তবে কিছুটা আড়াআড়ি এগিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। বদলি নামা অঁতোয়ান গ্রিজমানের খানিক পর নেওয়া শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি লিভাকোভিচ।

৮৩তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা টানেন আন্দ্রেই ক্রামারিচ। হফেনহাইমের এই ফরোয়ার্ড নিজেই ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা। প্রথমে অবশ্য বাজে অফসাইডের বাঁশি, তবে ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।

বাকি সময়ে দুই দলই একটি করে ভালো সুযোগ পায়, কিন্তু সফল হয়নি কেউই। এবারের নেশন্স লিগে এখন পর্যন্ত তাই জয়শূন্যই রইল দল দুটি।

‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট ১ করে। দুটি করে ম্যাচ খেলেছে তারা।