শিরোনাম :

আগে সেতুতে ওঠার চেষ্টায় মাওয়া প্রান্তে বিশৃঙ্খলা

আগে সেতুতে ওঠার চেষ্টায় মাওয়া প্রান্তে বিশৃঙ্খলা
Admin

সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আজ মোটরসাইকেল চালকসহ অন্য চালকরা কিছুটা বিশৃঙ্খলা করেছে। আমরা এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছি, ধীরে ধীরে আরো চাপ আরো কমে আসবে। আজকে প্রথম দিন তাই সবার মধ্যেই আগে সেতু পাড়ি দিবার প্রবণতা কাজ করেছে। এজন্য এমনটা হয়েছে।’

আগে সেতু পাড়ি দেয়ার প্রবণতার কারণে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। রোববার ভোরে যান চলাচালের জন্য সেতু খুলে দেয়ার আগে থেকেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

সকাল ৬টার দিকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় পদ্মা সেতু। এর আগে থেকে সেতুর উত্তর পাশে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও টোলঘরে ছিল জট।

শুরুতে এ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় সেতু কর্তৃপক্ষকে। প্রথম দিন আগে সেতু পাড়ি দেয়ার আগ্রহ কাজ করেছে অনেকের মাঝেই। ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে মানুষ।

সেতুর মুখে কাভার্ডভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কুষ্টিয়া যামু। আজকে সেতু খুলে দিব এজন্য ভাবলাম একটু আগে রওনা দেই, সকাল সকাল নতুন সেতু দেখে পাড় হয়ে যামু। রাত ২টায় ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে তিনটায় মওয়া আসলাম। লাভ হইল কি, দেখি জ্যাম।’

এমন যানজট দেখে আগে সেতু পাড়ি দিতে না পাড়ার শঙ্কায় নিয়ম ভাঙতে শুরু করেন চালকরা। উল্টোপথে এসে মাওয়া প্রান্তের সব সড়ক বন্ধ করে দেন বিভিন্ন বাহনের চালকরা।

উল্টো পথে এসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বাবুল নামের একজন ট্রাক চালক। তার কাছে উল্টো পথে আসার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘আমিতো লাইনেই ছিলাম, কিন্তু পিছের সব গাড়ি দেখি রং সাইড দিয়া যাইতাছে। আমি বইসা থাকমু ক্যান!’

ট্রাক চালক বাবুলের মত একই কাজ করেছেন মাইক্রোবাস চালক তুহিন। তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘ভাই এখন কথা কওয়ার টাইম নাই। আগে ব্রিজে উঠতে হইব। এইজন্য উল্টা মারছি।’

এদিন সবচেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা করতে দেখা যায় মোটরসাইকেল চালকদের। সেতু চালু হবার আগে মাওয়া প্রান্তে হাজারো মোটরসাইকেলের জটলা দেখা যায়। সেতু খুলে দেয়ার আগেই কয়েকজন মোটরসাইলেক চালক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে টোল প্লাজায় পৌঁছে যান। পরে সেতু কর্তৃপক্ষের তোপের মুখে ফিরে যান তারা।

সেতুর পাঁচটি টোল ঘর অনুযায়ী বাহনভেদে আলাদা আলাদা লেন করা হয়েছিল। মোটরসাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট একটি লেন থাকলেও প্রাতিটি টোলঘরেই জটলা বাধায় এই বাহনের চালকরা। এ সময় তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

এ বিষয়ে সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আজ মোটরসাইকেল চালকসহ অন্য চালকরা কিছুটা বিশৃঙ্খলা করেছে। আমরা এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছি, ধীরে ধীরে আরো চাপ আরো কমে আসবে। আজকে প্রথম দিন তাই সবার মধ্যেই আগে সেতু পাড়ি দিবার প্রবণতা কাজ করেছে। এজন্য এমনটা হয়েছে।’