শিরোনাম :

তিস্তার পানি কমলেও স্কুলে বন্ধ পাঠদান

তিস্তার পানি কমলেও স্কুলে বন্ধ পাঠদান
Admin

লালমনিরহাটে হঠাৎ বন্যায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানিবন্দি হয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম নবী এ বিষয়ে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কমে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে নামলেও জেলার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তিস্তার পানি বাড়ার কারণে জেলায় আবারও বন্যা হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন তিস্তার চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে গত দুই দিন ধরে তিস্তা নদীতে ভাঙনও দেখা দিয়েছে। এলাকায় বানভাসি মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ২৫টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে হয়েছে।

তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটারে পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সকালে জানান, গতকাল সারাদিন ও আজকে এখন পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদী তীরবর্তী সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালীগঞ্জ উপজেলার শৈলমারী, কাকিনা রৌদ্রেশ্বর, হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, সানিয়াজান এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলোর মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।

সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি প্রবেশ করার জন্য ক্লাস বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ‘গড্ডিমারী ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার পরিবার গত দুই দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে। তাদের মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।’

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান, পানিবন্দি পরিবারগুলোর তালিকা করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। কিছু পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে, বাকি পরিবারগুলোকে ত্রাণ দেয়া হবে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী আজ রাত ১০টায় জানান, এবারের বন্যায় জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে দুই দিন ধরে পাঠদান বন্ধ রয়েছে এসব বিদ্যালয়ে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, ‘বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে তিন হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সবাইকে ত্রাণ দেয়া হবে। আশা করি কোনো সমস্যা হবে না।’