শিরোনাম :

সিত্রাংমুক্ত দেশ, কমেছে সতর্কসংকেত

সিত্রাংমুক্ত দেশ, কমেছে সতর্কসংকেত
Admin

উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন নিম্নচাপ থেকে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি হবিগঞ্জ, সিলেট হয়ে মেঘালয়ের দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কমানো হয়েছে সতর্কসংকেত।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক সেফনিউজ২৪ কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘দেশ এখন সিত্রাংমুক্ত। ঘূর্ণিঝড়টি এখন নিম্নচাপ থেকে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে, যা হবিগঞ্জ-সিলেট হয়ে মেঘালয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। হবিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলে এটির সবশেষ অবস্থান ছিল।

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘আজ সারা দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। সাগরে বায়ুর তারতম্য আছে, তাই ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেয়া হয়েছে। তবে কাল থেকে সাইনিং আবহাওয়া বিরাজ করবে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তার সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে ও বিশেষ বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচারিত সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার মধ্যরাতে ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করত বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।’

মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।