শিরোনাম :

নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন

নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন
Admin

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণে সহায়তার জন্য জি-২০সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। একইসঙ্গে যুদ্ধসহ সংকটের কারণে যেসব সংস্থা বেশি মুনাফা করছে, তাদের লাভের কমপক্ষে ২০ শতাংশ সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বরাদ্দ বাধ্যতামূলক করতে জোটের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।

নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে বক্তব্যে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আড়ম্বরপূর্ণ নৈশভোজের পর শুরু হওয়া বৈঠকে বাংলাদেশসহ বিশেষভাবে আমন্ত্রিত ৯টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ ৪০টিরও বেশি প্রতিনিধি দল যোগ দেয়। এবারের সভার প্রতিপাদ্য- ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রেকর্ড করা ভিডিও ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

আবদুল মোমেন বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ। তা শুধু আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য নয়, মানব নিরাপত্তার জন্যও।

‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান সমগ্র অঞ্চল জুড়ে বিপর্যয়ের পাশাপাশি বিশাল নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করছে। তারা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর কাছে উগ্রবাদে দীক্ষিত হওয়া ও তাদের দলে টানার একটি সম্ভাব্য টার্গেট গোষ্ঠী হতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি বজায় রেখেছে। আমরা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে বাংলাদেশের মাটি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেই না। আমাদের সরকারের সক্রিয় উদ্যোগের কারণে ভারত, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারত বর্তমানে অব্যাহত উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তা সুবিধা ভোগ করছে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জি-২০ এর সভাপতি হিসেবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট মোকাবেলা ও সমস্যা সমাধানে জি-২০ নেতাদের প্রভাবিত করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘সংকট বিবেচনা করে জি-২০ নেতৃত্বের উচিত যেসব সংস্থা সংকটের কারণে বেশি মুনাফা করছে, তাদের লাভের কমপক্ষে ২০ শতাংশ সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বরাদ্দ বাধ্যতামূলক করা।’