শিরোনাম :

ঢাকায় কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল প্রত্যাহার

ঢাকায় কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল প্রত্যাহার
Admin

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ঢাকায় নিযুক্ত চার রাষ্ট্রদূতের বাড়তি প্রটোকল প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্য দুই রাষ্ট্রদূত হলেন ভারত ও সৌদি আরবের।

সে সঙ্গে এখন থেকে ঢাকার সব কূটনীতিক, মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা প্রটোকলে পুলিশের পরিবর্তে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তবে অতিরিক্ত নিরাপত্তার প্রয়োজন হলে পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ছয়টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনবল সংকট ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অর্থের বিনিময়ে কূটনীতিকেরা বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা নিতে পারবেন।

কমিশনার গোলাম ফারুক বলেন, ‘দেশের মন্ত্রী, সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রটোকলের জন্য আনসার বাহিনী থেকে একটি প্রটোকল ইউনিট করা হয়েছে। তারাই এখন প্রটোকলের দায়িত্ব পালন করবে। দেশের মন্ত্রী, এমপিদের যারা প্রটোকল দিয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ সব দেশের কূটনীতিকদেরও তারাই প্রটোকল দেবে।

‘প্রটোকলে আনসার সদস্যরা থাকলেও রাজধানীর গুলশান-বারিধারা কূটনৈতিক জোনে ডিএমপির ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। সবাই সমান প্রটোকল পাবেন। তবে কারও পুলিশি সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই তাদের পাশে থাকব।’

তবে পৃথক ইউনিট গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি পায়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

আনসারের গণসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চিঠি পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গুলশানে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর রাজধানীর কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি আলাদা ইউনিট গঠন করে। ওই সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বাড়তি প্রটোকল পেয়ে আসছেন।

তবে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় প্রটোকলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে ডিএমপি কমিশনার জানান।

তিনি বলেন, ‘আনসারের প্রটোকল ইউনিট এখন থেকে এই দায়িত্ব পালন করবে। কারণ, প্রটোকলের জন্য ডিএমপির কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য রাখতে হয়।’

তবে এই জায়গা থেকেও ডিএমপি সরে আসতে চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।