বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব, সুবিদিত ও বিদগ্ধ আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, কপালে টিপ দেওয়া নারীকে রাস্তায় কেউ হেনস্থা করলে সেটা নিন্দাযোগ্য কাজ। কোনো নারীকে হিজাবের কারণে হেনস্থা করা হলে সেটাও নিন্দনীয় ও অন্যায় কাজ।
সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎ কপালের টিপ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হওয়ার প্রেক্ষিতে তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক পেইজে রবিবার (৩ এপ্রিল) বলেন, টিপ নিয়ে আমাদের মিডিয়া ও সুশীল সমাজ যতো সরব, হিজাবের বেলায় কেন তারা এমন সরব হন না? ক্ষেত্রবিশেষে বরং হিজাবের কারণে হেনস্থা করাকে অনেকে সরব অথবা নিরব সমর্থন করেন!
তিনি বলেন, এই দ্বৈত নীতি অবলম্বনকারীরা আর যা-ই হোন, কোনো সৎ মানুষ হতে পারেন না। আমরা প্রতিবাদ করবো সব অন্যায়ের। টিপ নিয়ে রাস্তায় কটু মন্তব্য যেমন অগ্রহণযোগ্য, হিজাব পরতে বাধা দেওয়া তারচেয়ে বেশি অগ্রহণযোগ্য। কারণ প্রথমটি ব্যক্তির চয়েস মাত্র, দ্বিতীয়টি ব্যক্তিগত চয়েজ ছাড়াও ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়।
উল্লেখ্য, তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষিকা শনিবার অভিযোগ করেন, তেজগাঁও এলাকায় পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি তাকে উত্ত্যক্ত করেন। ঘটনার বর্ণনা করে তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগটি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।
অভিযোগে বলা হয়, ওই প্রভাষক সকাল ৮টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ফার্মগেট মোড় পার হয়ে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। সেজান পয়েন্টের সামনে বন্ধ করে রাখা মোটরবাইকের ওপর বসে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওই টিপ পরছোস কেন’। শিক্ষিকা পেছন ফেরে প্রতিবাদ করলে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ওই ব্যক্তি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন (লেখার যোগ্য নয়)।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইভটিজিং করা ওই ব্যক্তির নাম বা পদবি খেয়াল করতে পারেননি ওই শিক্ষিকা। তবে গালিগালাজের একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি বাইক স্টার্ট করে প্রায় নারীর গায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে দিচ্ছিলেন। ওই নারী পিছিয়ে গেলেও তার পায়ে আঘাত লাগে। বাইকটির নম্বর ১৩৩৯৭০ হতে পারে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই নারী।