নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে সরিষা কাটা-মাড়াইয়ের ধুম পরেছে। পাশা-পাশি স্থানীয় বাজারে সরিষা বিক্রিতে ভাল দাম পাওয়ায় চাষীরা খুশি । কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ-বালাই না থাকায় ভাল ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। খরচ বাদে এবার বিঘা প্রতি প্রায় ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকা লাভ করছেন কৃষকরা।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলা জুড়ে দুই হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন কৃষকরা। এর মধ্যে বারী-৯, বারী-১৪, বারী-১৫, বারী-১৭, এবং টোরি-৭ জাতের সরিষা রয়েছে। এই সব জাতের মধ্যে বারী-৭ ও বারী-১৪ উচ্চ ফলনশীল জাত।
কালীগ্রাম ইউনিয়নের করজগ্রামের কৃষক আতোয়ার হোসেন জানান, তিনি এবার সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে জমিতে সরিষা আবাদ লাভবান লাভবান হয়েছেন। কালীগ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান জানান,দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে প্রায় ১২ মন সরিষা পেয়েছেন। রাজাপুর গ্রামের কৃষক মহসিন আলী জানান,আবাদপুকুর হাটে প্রতিমন সরিষা প্রায় দুই হাজার ৬০০ টাকা মন বিক্রি করেছেন। কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান,সরিষার তেল এবং খৈলের দ্বিগুন দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার সরিষার ভাল দাম পাওয়া যাবে ধারণা করে প্রায় ১০ বছর পর তিন বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। ধারনা অনুযায়ী ভাল ফলন এবং সন্তোষজনক দামে খুশি হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন,ধান আবাদের চাইতে সরিষাতে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকদের দেয়া তথ্য মতে,প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে জমিতে হাল চাষ থেকে শুরু করে সরিষা রোপন,সার ও কিটনাশক প্রয়োগ এবং কাটা মাড়াই পর্যন্ত ছয় হাজার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। কিন্তু এবার সরিষার জাত এবং রকম ভেদে যে ফলন এবং বাজারে যে দাম সে অনুযায়ী বিঘাপ্রতি সাত হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে। আবাদপুকুর হাটে সরিষা ক্রয় করতে আসা আড়ৎদার আনোয়ার হোসেন জানান,সরিষার জাত এবং দানার রকম ভেদে দুই হাজার থেকে শুরু করে দুই হাজার ৭০০ টাকা মন পর্যন্ত ক্রয় করেছেন। তবে রোদ