জয়পুরহাট জেলায় মাঘের শেষে ভারি বৃষ্টিপাত ও ঝড় হাওয়ার কারনে সরিষা, আলু, পেঁয়াজ ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে পানি জমে যাওয়ায় আলু চাষিরা ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন সবচেয়ে বেশি। শুক্রবার রাত ২ টার পর থেকে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়ে বেলা ১২ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম জানান, আলু তোলার ভরা মৌসুম শুরু হওয়ার পূর্ব মহূর্তে ভারিবৃষ্টিতে মারাত্মক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন জেলার আলু চাষিরা। আলুর জমিতে জমে যাওয়া পানি দ্রুত বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত ২ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত গত ৮ ঘন্টায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে জেলায়। মাত্র ৩০ শতাংশ জমির আলু তোলা হলেও ৭০ ভাগ আলু এখনও জমিতে রয়েছে। আলু তোলার জন্য এখন কৃষকরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন ঠিক এ মূহুর্তে হঠাৎ করে ব্যাপক বৃষ্টিতে আলুর জমিতে পানি জমে যাওয়ায় মারাত্মক ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন জেলার আলু চাষিরা। পানিতে ঢুবে থাকা আলু তোলার পর পচন ধরার আশংকা থাকে। অসময়ে হঠাৎ বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষকের আলু রক্ষায় ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষিবিভাগ ও কৃষকরা। আলুর জমি থেকে দ্রুত পানি বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঝড় হাওয়ার কারণে পাক ধরা সরিষার গাছ গুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। এতে সরিষার ফলনে মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছে কৃষি বিভাগ। অপরদিকে, জেলায় চলতি ২০২১-২০২২ রবি মৌসুমে ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে এবার সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলনের আশা ছিল কৃষক ও কৃষি বিভাগের। ঝড় হাওয়ায় যেন সব তসনস হয়ে গেছে। সরিষার গাছ গুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। কাঁচা পাকা হওয়ায় এ গুলো তোলা সম্ভব নয় বলে জানান মাদারগঞ্জ এলাকার কৃষক ধীরেন্দ্রনাথ মন্ডল। অতিরিক্ত পানির কারণে রোপা পেঁয়াজসহ শাক সবজিরও ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ করে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ইটভাটায় থাকা কাঁচা ইট পানিতে নষ্ট হওয়ায় কারণে প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো ক্ষতির আশংকা করছেন ইট ভাটার মালিকরা।