কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, প্রতিবছর ভোজ্যতেল আমদানি করতে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ বছর সারা দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা বিপ্লবের এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী তিন বছরের মধ্যে বছরে ভোজ্যতেল আমদানি অর্ধেকে নেমে আসবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তাতায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ফরিদুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক সত্যব্রত নাগ, অতিরিক্ত পরিচালক ড. অরবিন্দ বিশ্বাস, খুলনার আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, বিরির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাড. তাহমিদ হোসেন, খুলনার উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার কারণে আবাদি জমিতে ফসল উৎপাদন করা চ্যালেঞ্জের বিষয়। গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর জেলার পরিবেশগত বৈশিষ্ঠ্যর কারণে এখানে সবসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এ সব জেলায় কৃষির আধুনিক সুযোগ সুবিধাসমূহ ব্যবহারের পরিমাণ কম, ফলে কৃষির কাংখিত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্পভুক্ত ৫ টি জেলার ৩৯ টি উপজেলায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহার করে ফসলের নিবিড়তা ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।
বক্তারা বলেন, দক্ষিণের ৫ জেলায় প্রায় ৫ হাজার ১২৭ হেক্টর জমি চাষের আওতায় এসেছে। ৭৮টি বারিড পাইপ স্থাপন ও এলএলপি সরবরাহ ফলে ৪০০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে। এছাড়া লবণাক্ত সহনশীল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৩টি অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন ব্রি, বারি, বিনা, বিএডিসি, এসআরডিআইসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।