বুধবার রাতে ঢাকার গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরা এড়াতে পরনের পাঞ্জাবি দিয়ে মুখ ঢাকতে দেখা যায় তাকে।
মাকসুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে বুধবার রাত ১১টার দিকে গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১২২ নম্বর সড়কে একটি বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। দুই ঘণ্টা পর তাকে গাড়িতে তুলে ওই বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “রতনপুর গ্রুপের এমডি মাকসুদুর রহমান দেশের অন্যতম শীর্ষ ঋণখেলাপি। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় চট্টগ্রামের আদালত তার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর একটিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হল।
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত আরএসআরএম এক সময় ছিল চট্টগ্রামের ইস্পাত খাতের নামী কোম্পানি। ৪০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আরএসআরএম গ্রুপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে ২০২১ সালের শুরু থেকেই এ কারখানা বন্ধ রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্যবসা করার জন্য ঋণ নিয়ে তা শোধ না করায় আরএসআরএমের কাছে দশটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা দাঁড়িয়েছে ২২০০ কোটি টাকা। ওই পাওনা আদায়ে কোম্পানি এবং এর কর্ণধারদের বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের দায়ের করা দুটি এনআই অ্যাক্টের মামলায় মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
জনতা ব্যাংকের ৩১৩ কোটি টাকা ঋণ শোধ না করায় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি মাকসুদুরের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
আরএসআরএমের কাছে সোনালী ব্যাংকের পাওনা ২০১ কোটি টাকা। ওই টাকা আদায় করতে না পেরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় আরএসআরএমের কারখানাসহ ১০০ শতক জমি নিলামে তোলার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।