সিলেট ও উত্তরাঞ্চলসহ দেশের কয়েকটি জেলা বন্যা কবলিত। এবার ফরিদপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে পদ্মার পানি। ফলে প্লাবিত হতে শুরু করেছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার পদ্মা, মধুমতি, আড়িয়ালখাঁ ও কুমার নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
তবে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ফরিদপুরের বিপৎসীমার লেভেল ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭.৫২ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। রোববার (১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত শূন্য দশমিক ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যা স্বাভাবিক গতি।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেলের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকার মোকছেদ সরদার ও মাসুদ সরদার জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় সপ্তাহ খানিক ধরে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে গত দুইদিন ধরে পানি বৃদ্ধির গতি বেশি। এভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে অনেক বাড়ি-ঘরে পানি উঠতে পারে।
এ ব্যপারে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান মুস্তাক জাগো নিউজকে বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম। এমনিতেই নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। আমার ইউনিয়ন পদ্মা নদী বেষ্টিত। গত দুই দিনে নদীতে হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’দিনে গড়ে প্রায় ১ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বদাম, তিলসহ অন্যন্য ফসল তলিয়ে কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে পার্শ্ববর্তী চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা সাইফুল ইসলাম আজম জাগো নিউজকে বলেন, হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে আমার ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকদের বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এমন গতিতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে বাদামের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ফসল পাট ও তিলক্ষেত তলিয়ে যাবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জাগো নিউজকে বলেন, ফরিদপুরে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই ফরিদপুরের পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়ালখাঁ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ৩৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছুই স্বাভাবিক আছে। এভাবে চলমান থাকলে বড় ধরনের ঝুঁকি নেই।