ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এবার প্রায় ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির আদেশ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি মেলায় ৪০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। এবারের মেলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১২ ক্যাটাগরিতে ৪২ অংশগ্রহণকারি, বিভিন্ন দফতরের ১০ কর্মকর্তা এবং ২৭টি সংস্থা পুরস্কার পেয়েছে।
সোমবার রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) আয়োজিত ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী,বীর প্রতীক এবং বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন।
বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এমন আহসান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী,বীরপ্রতীক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনার কারনে কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি সচল রয়েছে। তিনি বলেন, জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের অধীনে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব নয়। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি পাচ্ছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি তার বক্তব্যে বলেন, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও এবারের মেলা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ দেশের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জণে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একইসাথে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রেক্ষিতে যেসব বাণিজ্য সুবিধা হারাবে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর চারটি দেশের সাথ বানিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, এবারের বাণিজ্য মেলা প্রায় দেড় কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় হয়েছে।