ঈদ এলেই ট্রেনের টিকিট হয়ে ওঠে ‘সোনার হরিণ’। অগ্রিম টিকিটের জন্য কাউন্টারে সে কী অপেক্ষা মানুষের। রাত থেকে ভোর, এমনকি দুপুর পর্যন্তও লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তবে টিকিট পেতে ভোগান্তি হলেও স্বস্তির ঈদযাত্রায় বাড়ি ফিরছে মানুষ।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরুর প্রথম দুদিনের মতো তৃতীয় দিনেও রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট সময়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। এতে অপেক্ষা আর ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে ঈদযাত্রীদের। সময় মতো ট্রেন ছাড়ায় খুশি নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ।
আমাদের ঢাকা প্রতিনিধি জানান, কমলাপুর ষ্টেশন থেকে বেশিরভাগ ট্রেন সময় মতো ছেড়ে যাচ্ছে। দু-একটি ট্রেন ছাড়ছে সামান্য দেরিতে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকালে ৮টার পর রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম অভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চিলাহাটি অভিমুখী নীলসাগর, চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর প্রভাতী ও তিস্তা এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার, কর্ণফুলি কমিউটার। প্রতিটি ট্রেন নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে স্টেশন ছাড়ার অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
এদিকে টিকিট কাটায় ভোগান্তি হলেও সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। এ বিষয়ে কথা হয় মহানগর প্রভাতী ট্রেনের যাত্রী আহমেদ শাহরিয়ার রাফির সঙ্গে। তিনি সেফনিউজ২৪কে বলেন, সব ট্রেন যথাসময়ে ছাড়ছে, এটা ভালো দিক। যাত্রীরা টিকিট পেতে ভোগান্তিতে পড়লেও ঈদযাত্রা হচ্ছে স্বস্তিদায়ক।
কথা হয় সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আহমেদ ইমতিয়াজ রিফাত এর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করে টিকিট পেয়েছি। দুটি টিকিটের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, সারারাত কমলাপুর স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়েছি। আজ বাড়ি যাচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ছে, কোনো ভোগান্তি নেই। এর চেয়ে ভালো দিক কী আছে। টিকিট সংগ্রহের কষ্ট এখন ভুলে গেছি।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে গত ১ জুলাই থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ১ জুলাই দেওয়া হয় রেলের ৫ জুলাইযের ট্রেনের টিকিট, ২ জুলাই ৬ জুলাইয়ের, ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের এবং ৫ জুলাই দেওয়া হয় ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
এছাড়া ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে। আজ বিক্রি হচ্ছে ১১ জুলাইয়ের ফিরতি টিকিট। এছাড়া আগামীকাল ৮ জুলাই দেওয়া হবে ১২ জুলাইয়ের টিকিট, ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ১০ জুলাই ঈদ হলে ১১ জুলাই সীমিত পরিসরে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। তবে ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলাচল করবে।