ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে গমসহ অন্য খাদ্যশস্য রপ্তানির খবরে বিশ্ববাজারে গমের দাম কমতে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট দূর করতে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় স্থানীয় সময় শুক্রবার একটি চুক্তি করে ইউক্রেন ও রাশিয়া।
এর এক দিন পরেই কিয়েভ কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত তাদের বন্দরগুলোর মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টনের বেশি গম ও অন্য কৃষিপণ্য রপ্তানির পরিকল্পনার কথা জানায়।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এমন পরিকল্পনার কথা জানান ইউক্রেনের উপমন্ত্রী ইউরি ভাসকভ। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বন্দর থেকে শস্য, খাদ্য এবং সার রপ্তানি করা হবে।
ইকোনমিক ট্রুথ পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই রপ্তানি মাসে ৩০ লাখ টন বা তার বেশি হতে পারে। এটি পর্যায়ক্রমে হবে। আমরা যদি পরিমাণ আরও বাড়াতে চাই, তাহলে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। তখন আমরা এর সঠিক পরিমাণ উল্লেখ করতে পারব। তবে আমরা দেখছি, এটি ৩০ লাখ টনের বেশি করা সম্ভব।’
ফোর্বস ইউক্রেনকে দেয়া আলাদা এক সাক্ষাৎকারে ভাসকভ বলেন, ‘শস্য বোঝাই প্রথম জাহাজটি চার দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের বন্দর ছাড়তে পারে। এ ছাড়া অন্য তিন বন্দর ওডেসা, চেরনোমরস্ক এবং ইউজনি পুরোপুরি চালু হতে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে।’
চুক্তির অংশ হিসেবে জাতিসংঘ রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানির বাধাগুলোও দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
খাদ্যশস্য রপ্তানির এই চুক্তির খবরের পর বিশ্ববাজারে গমের দাম কমতে শুরু করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কেট ইনসাইডার।
শুক্রবার রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে গমসহ অন্য খাদ্যশস্য রপ্তানির খবর প্রকাশ হলে বিশ্ববাজারে গমের দাম ৩ শতাংশ কমে যায়। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু পর গমসহ বিভিন্ন খাদ্যশস্যের দাম রেকর্ড বেড়ে যায়। এমনকি বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্য ঘাটতিও দেখা দেয়।
তাই ইউক্রেনের বন্দরগুলোকে অবরোধমুক্ত করা জরুরি হয়ে পড়ে। দেশটি জানিয়েছে, তাদের সবচেয়ে বড় বন্দর ওডেসায় প্রায় দুই কোটি টন শস্য আটকে আছে।
অবশ্য চুক্তির পর এক দিন না পেরোতেই বন্দরনগরী ওডেসায় হামলা হয়েছে। রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের এই বন্দরনগরের অবকাঠামোয় আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।