শিরোনাম :

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নতুন সূচিতে শুরু অফিস

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নতুন সূচিতে শুরু অফিস
Admin

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নতুন সূচি কার্যকর করা হয়েছে বুধবার।

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অফিস চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়েও নতুন সূচি অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন সূচি অনুযায়ী অফিসে আসেন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদেরও নতুন সূচি অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করতে দেখা যায়।

সকালে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ওই সময় তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সময় কমিয়ে নতুন নিয়মে অফিস শুরু হলেও সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না।

তিনি বলেন, ‘সেবা দেয়ায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। আমি খবর নিয়েছি, সব কর্মকর্তা সঠিক সময়ে অফিসে এসেছেন। যেসব সেবা দেয়া প্রয়োজন, তা এই নতুন সময়সূচিতেই দেয়া সম্ভব।

‘আমাদের কৃষি ক্ষেত্রের চাহিদার প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ সরবরাহ খুব দরকার। আমাদের ফসল উৎপাদন করতে হবে। সারা পৃথিবী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সে জন্য খাদ্যদ্রব্যের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। জ্বালানির ওপরও মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

‘এ বিষয়ে এখন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়, তাহলে অন্য দেশগুলো যে সমস্যায় পড়ছে, সেখান থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। খাদ্যশস্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অপচয় কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। অপচয় করলে চাপ সৃষ্টি হবে। জাতীয় অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। আমরা অপচয় বন্ধ করতে পারলে ভালো। নতুন সময়সূচি কতদিন অব্যাহত থাকবে, সেটি নিয়ে টাইমফ্রেম ঠিক হয়নি।

‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের যতগুলো সুযোগ নেয়া উচিত, সবই নেয়া উচিত। ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে শপিং মল ৬টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। এশিয়ায়ও কোনো কোনো জায়গায় ৬টা বা ৮টায় বন্ধ করে।’

বেসরকারি অফিসের বিষয়ে সরকার কিছু ভাবছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি অফিসের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা না হলেও আমার মনে হয় সরকারি অফিস যদি আগে বন্ধ হয়, ব্যাংক আগে বন্ধ হয়, স্বাভাবিকভাবে তারাও কর্মঘণ্টা কমাতে পারে। এটা নিয়ে পরবর্তী সময়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হতে পারে।

‘যত বেশি বিদ্যুৎ, জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারি, তাহলে উৎপাদনে মূল্য কম পড়বে।’