কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার মারা গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ।
তিনি বলেন, ‘গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।’
অভিনেতা, পরিচালক, উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় জানান, গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইন্তেকাল করেছেন। মরদেহ এখন হাসপাতালে আছে বলে জানান জয়।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তার জন্ম ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।
তিনি ২০০২ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক এবং ২০২১ সালে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
তিনি পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০ হাজারের বেশি গানের রচয়িতা তিনি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে তার লেখা তিনটি গান। বিবিসির সেই গান তিনটি হলো ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’ ও ‘একবার যেতে দে না’।
১৯৬৪ সাল থেকে রেডিওতে গান লেখা শুরু তার, পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই সেখানে গান লিখেছেন। প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন ১৯৬৭ সালে আয়না ও অবশিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য।
তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র নান্টু ঘটক ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৪১।
তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি অসংখ্য কালজয়ী গান লিখেছেন।
তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো- ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’ ও ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’।
তার কালজয়ী গানের তালিকায় আরও রয়েছে ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’ ও ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’।