পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ জনে।
সোমবার সকালে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আত্রাই নদীর জিয়া সেতুর নিচ থেকে একজনের, বীরগঞ্জ অংশে কাশিমনগর বাদলারঘাটে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগে রাতে বোদায় একজন ও দেবীগঞ্জে দুইজনের মরদহ উদ্ধার করা হয়।
তাৎক্ষণিক উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায়, খানসামা থানার ওসি চিত্তরঞ্জন, বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার ও দেবীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার সোহেল রানা নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বোদা উপজেলার মারেয়া আউলিয়া-বদ্বেশ্বরী ঘাটে করতোয়া নদীতে রোববার দুপুরে শতাধিক যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ডুবে যায়। যার বেশির ভাগই মহালয়ার পুণ্যার্থী ছিলেন। তারা নদীর ওপারে বদ্বেশ্বরী মন্দিরে প্রার্থনা শেষে ফিরছিলেন।
এ ঘটনায় রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। সবগুলো মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সৎকারের জন্য পরিবারগুলোকে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
এ প্রাণহানির জন্য অতিরিক্ত যাত্রী বহনকে দায়ী করেছেন জেলা প্রশাসন (ডিসি)।
তিনি বলেন, ‘নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। ঘটনাস্থলে মারওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পুলিশ ছিল। তারা সবাই ওই নৌকায় এত লোক উঠতে নিষেধ করেছিলেন।
‘গতকাল বৃষ্টি হওয়ার কারণে নদীতে পানি বেশি ছিল, স্রোতও বেশি ছিল। নিষেধ করতে করতে সবাই উঠে যায়। যেহেতু ধর্মীয় বিষয় সবাই উঠতে চাইছিলেন। এরপর মাঝনদীতে গিয়ে ডুবে যায় নৌকাটি।’
এদিকে এই দুর্ঘটনা তদন্তে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথৈ আদিত্যকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।