বান্দরবানের আলীকদমে ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ট্রফি ভাঙার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাকে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
সে সঙ্গে মেহরুবা ইসলামকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর সেকশন-১৪৪ এর ক্ষমতাও দেয়া হয়েছে।
এর আগে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করে দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটি রোববার তাদের কতন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের মাংতাই হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ট্রফি ভাঙার ঘটনাটি ঘটে।
ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। ইউএনওর বিরুদ্ধে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তার অপসারণ দাবি ও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদিন বিকেলে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ৭০ মিনিটের খেলায় চূড়ান্ত মীমাংসা হয়নি। খেলা ড্র হয়ে যাওয়ার পর রেফারি টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত দেন।
এতে আবাসিক জুনিয়ার দলকে ৩-১ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়, রানার্সআপ হয় রেপারপাড়া একাদশ। খেলা শেষে ইউএনও মেহরুবা ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার সময় পক্ষ-বিপক্ষ দলের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও শোরগোল বাধে।
ইউএনও হট্টগোলের কারণ জানতে চাইলে অনেকেই খেলার ফলাফল মানেন না জানিয়ে আবারও খেলার দাবি জানান। তখন ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরপর তিনি খেলার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফি দুটি টেবিলের ওপর আছড়ে ভেঙে ফেলেন।