উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশীদ।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার তিনি হাজির হন।
আদালত অবমানার বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্টের এ বেঞ্চ কক্সবাজারের ডিসিকে তলব করেছিল। সে তলব অনুযায়ী আজ তিনি হাইকোর্টে হাজির হন।
ডিসি ছাড়াও আরও চারজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। তারা হলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমেদ, টাউন প্ল্যানার তানভির হাসান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাদের আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দিয়ে ২০১১ সালের ৭ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। ওই রায়ের আলোকে কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ কারণে ফের আদালত অবমনানার অভিযোগ করা হয়।