চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানার অক্সিজেন মোড়ের ‘ম্যাক পেপার মিলে’ লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও পুরোপুরি নেভাতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বেলা ১১টার দিকে আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুন লাগা গোডাউনটি পুরোনো কাগজের। আগুন না ছড়ালেও এখনো পুরোপুরি নেভেনি। সবগুলো ওয়েস্টেজ না সরানো পর্যন্ত আগুন এবং ধোঁয়া থাকবে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে— ভোর ৫টা ১০মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর বায়েজিদ, কালুরঘাট এবং আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। ফায়ার সার্ভিস আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানানো হয়। তবে আগুন লাগার সূত্রপাত সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
অন্যদিকে, সকাল পৌনে ১০টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে— ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে পানি ছিটাচ্ছেন। পুরোনো কাগজের গোডাউনটিতে তখন ধোঁয়া ও আগুনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছিল। ফায়ার ফাইটাররা বিশেষায়িত মাস্ক ব্যবহার করে আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন।
কারখানার এককর্মী বলেন, ‘ভোরে আগুন লেগেছে। কেমনে লেগেছে জানি না। গোডাউনের চারিদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনাস্থলে ৯টা ৫০ মিনিটে কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দিন বলেন— আগুন পুরোপুরি ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণে। এটি একটি ওয়েস্টেজের গুদাম। এখানে পুরোনো কাগজচাপা পড়ে আছে। তাই এখনো জ্বলছে আগুন আমাদের ফায়ার ফাইটাররা আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে কোনো হতাহতের খবর নেই।
তিনি বলেন, ‘আগুন ভোরে লেগেছে। তখন কারখানা বন্ধ ছিল। সেসময় গোডাউনে কেউ ছিল না। তাই কোনো হতাহতের খবর আমরা পাইনি।