রাজধানীর দিয়াবাড়ি (উত্তরা) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রী নিয়ে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছেছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। এর মধ্যে দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করে দেশ। মেট্রোরেলের প্রথম এই যাত্রার যাত্রী হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
মেট্রোরেলের উদ্বোধনী যাত্রায় দিয়াবাড়ি স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ট্রেন ছাড়ে ১টা ৫৩ মিনিটে। ট্রেনটি আগারগাঁওয়ে পৌঁছায় ২টা ১২ মিনিটে। অর্থাৎ দিয়াবাড়ী থেকে সরকারপ্রধানের আগারগাঁও পৌঁছাতে সময় লেগেছে মোট ১৯ মিনিট। এই সময় ট্রেনের মধ্যে থাকা সফরসঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলেন সরকারপ্রধান। কিছু সময় ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখা গেছে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন ট্রেনটিতে ওঠেন তখন তার পাশে বসা ছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী মতিয়া চৌধুরী। মতিয়ার পাশে বসা ছিলেন শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনা।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ছুটে চলা ট্রেনটির চালক ছিলেন মরিয়ম আফিজা, যিনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করে মেট্রোরেলের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে সবুজ পাতাকা নেড়ে মেট্রোরেল চলাচলের সবুজ সংকেত দেন শেখ হাসিনা। এরপর সেই পতাকায় স্বাক্ষর করেন। তারপর প্রথম যাত্রী হিসেবে তিনি ও তার ছোট বোন টিকিট সংগ্রহ করেন।
প্রধানমন্ত্রী টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) ব্যবহার করে এমআরটি পাস কেনেন এবং কনকোর্স লেভেল থেকে আগারগাঁওগামী প্ল্যাটফর্মে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে মেট্রোরেলের যাত্রী ছিলেন দুই শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষ। যাদের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাক কর্মী, রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।