মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও জাহান্নামে শাস্তি থেকে মুক্তি (নাজাত) কামনায় লাখো মুসল্লির মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
রোববার দুপুর ১২টা মিনিটে এই আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। মোনাজাত শেষ হয় পৌনে ১টায়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লি নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভির বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি।
প্রথম ১০ মিনিট আরবিতে দোয়া করেন তিনি। এ সময় মুসল্লিদের আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায়।
মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই রাজধানী, সাভার, নরসিংদী, গাজীপুর ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের দিকে আসা শুরু করেন। মুসল্লিদের এ ঢলে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় ধর্মীয় উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্ব পাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মোনাজাত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
সকালে মুরব্বি ও আয়োজক কমিটির ফয়সালা মোতাবেক বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। এর আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান করা হয়।
ইজতেমা এলাকায় পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকলেও যাত্রী ও কাঁচামালবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল, তবে প্রথম পর্বে অনেকেই আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়ায় এবারের পর্বের মোনাজাতে মুসল্লির সংখ্যা কিছুটা কম।
প্রথম পর্বের মোনাজাত উপলক্ষে অধিকাংশ শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এবার তেমনটা রাখা হয়নি। তাই মুসল্লিদের সংখ্যা কিছুটা কম বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, রোববার ফজরের নামাজের পর ভারতের দিল্লির মোরসালিন নিজামুদ্দিনের বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার তৃতীয় দিন শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফুল।
তিনি আরও জানান, বয়ানের পর নাস্তার বিরতি দিয়ে ৯টা থেকে মাওলানা মোশাররফ তালিম শুরু করেন। এরপর শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান।