রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে রোববার দুপুর থেকে শুরু হওয়া জনসভায় যোগ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে সকালে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে বেলা সোয়া ৩টার দিকে জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।
গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চে উঠে আওয়ামী লীগ সভাপতি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। পরে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন ও প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় তার জনসভাস্থল। রাজশাহী ও আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা রোববার সকাল ৮টার দিকে মাঠে ঢুকতে শুরু করেন, যেটি দুপুরের আগেই ভরে যায়।
ভোর থেকেই জনসভা এলাকায় আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো রাজশাহী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত এই জনসভা শুরু হয়, যাতে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা জনসভা পরিচালনা করছেন।
সভার শুরুতে চারটি ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রেজোয়ানুল হক পিনু মোল্লাহ।
আওয়ামী লীগ নেতা তন্ময় শর্মা পবিত্র গীতা, খায়রুল বাসার টোটন বাইবেল পাঠ এবং শ্রাবণী বড়ুয়া ত্রিপিটক পাঠ করেন।
সভার শুরুতেই বক্তব্য দেন নওগাঁ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নিজামুদ্দিন জলিল জয়। এরপর একে একে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
জনসভাস্থল ভরে যাওয়ায় অনেক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন আশপাশের এলাকায়। নগরীর ১৩টি পয়েন্ট লাগানো হয়েছে বড় পর্দা, যেগুলোতে সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে জনসভা।
জনসভাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছে। সকাল থেকেই পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ ও র্যাব তল্লাশি চালিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন নেতা-কর্মীদের। জনসভাস্থলে সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশের জন্য বাঁশ দিয়ে আলাদা লেন করা হয়েছে।