শিরোনাম :

১৯ দিন পর আবারও বাড়ল বিদ্যুতের দাম

১৯ দিন পর আবারও বাড়ল বিদ্যুতের দাম
Admin

গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের দাম গড়ে পাঁচ শতাংশ এবং পাইকারিতে আট শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

সরকারের নির্বাহী আদেশে বাড়ানো বিদ্যুতের নতুন এ দাম বুধবার থেকে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য বিদ্যুতের এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

এর গত ১২ জানুয়ারি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দামও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

জানুয়ারি মাসের বিল গ্রাহককে ফেব্রুয়ারি মাসে দিতে হবে। এবার ফেব্রুয়ারি মাসের বাড়তি দামের বিদ্যুতের বিল গ্রাহককে দিতে হবে মার্চ মাসে।

বিদ্যুতের ব্যবহার ভেদে ছয় ধরনের গ্রাহক রয়েছে, যে গ্রাহক যত বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন তাকে বিদ্যুতের দাম তত বেশি দিতে হবে। এর মধ্যে শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ যারা ব্যবহার করে তাদেরকে অতি দরিদ্র মনে করা হয়, এদের বিদ্যুতের ধাপকে লাইপ লাইন বলা হয়। এ বাদেই ছয়টি ধাপ রয়েছে।

সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী লাইফলাইন গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ১৪ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৬২ পয়সা এবং ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬২ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ১০ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বেড়ে ১০ টাকা ৯৬ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল ১২ টাকা ০৩ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকা ৬৩ পয়সা করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। গত ১২ জানুয়ারি সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হয়েছে সেই জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেশের পাইকারি বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ৪০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হবে। এর মধ্যে সরকার দেবে ১৭ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২৩ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

এর আগে গত চলতি জানুয়ারিতই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার দেয়া মুল্যবৃদ্ধি প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করে। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি প্রায় ২০ শতাংশ খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করে।

এর মধ্যেই ১২ জানুয়ারি বিদ্যুৎ বিভাগ ৫ শতাংশ খুচরা পর্য়ায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে বিইআরসির আদেশকে পাশ কাটিয়ে। মঙ্গলবার ফের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করল বিদ্যুৎ বিভাগ।