সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা দিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি টাকা।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে সূচক নিম্নমুখী রয়েছে। এ বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। আর দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে এমন ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতা দেখা দিলেও ১০ মিনিটের মধ্যে প্রধান সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪০ মিনিটে ডিএসইতে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২১টির। আর ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে দশমিক ২৭ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ২৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩টির, কমেছে ১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে কমে বাজার মূলধন।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬২ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা।
অন্যদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমে ৪১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক কমে ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ। ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমে ১০ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৯ শতাংশ।
সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ২৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমে ১৪৯ কোটি ১১ লাখ টাকা বা ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।