বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পহেলা বৈশাখে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আবশ্যিকভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রার নির্দেশনা থেকে সরে এসেছে সরকার।
পহেলা বৈশাখের ঠিক আগের দিন বৃহস্পতিবার নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাউশির সহকারী পরিচালক রূপক রায় স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু করতে হবে। অনুষ্ঠানে রমজান মাসের পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা করতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে ও ধর্মীয় অনুভূতি বজায় রেখে যথাযথ আড়ম্বরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে।
সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজকে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে এসব কর্মসূচির আয়োজন করতে বলেছে অধিদপ্তর।
আর মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাহে রমজানের পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কোরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে হবে। আদেশটি সব বেসরকারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সুপার ও এবতেদায়ি প্রধানদের পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২০ মার্চ সরকারের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা জানিয়ে দেয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, রোজার কারণে ছুটি থাকলেও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে। সেদিন সকালে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শোভাযাত্রা করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে অপরিমেয় বিশ্ব সংস্কৃতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করতে হবে। সকালে আবশ্যিকভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শোভাযাত্রা করতে হবে।