পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাব খানকে অস্ত্র আইনের এক মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি আরাবকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আদালতের পেশকার আবুল কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ মে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ঠিক করে আদালত। আরাব খান পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এর আগে ২৮ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাব খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।
এ ঘটনায় ওই দিনই আরাবের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ঢাকা পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু।
তদন্ত শেষে একই বছরের ১ মার্চ অভিযোগপত্র জমা দেন ডিবি পুলিশের এসআই শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। পরে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরুর আদেশ আসে ১০ মে।
এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন নিয়ে পলাতক হন রবিউল। ওই বছরের ২৪ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করে আদালত।