চীন সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক কূটনীতিতে যে সাফল্য দেখিয়েছে তার প্রশংসা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা স্থানে চলমান সংকট প্রশমনে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ড. মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উভয় পক্ষ বহুপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে চলমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে মোমেন দক্ষিণের বৃহত্তর সম্মিলিত সুবিধার জন্য ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপট টেনে মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের যারা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছেন তাদের কথা তুলে ধরেন।
সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে অবিলম্বে যুদ্ধের অবসান ঘটবে বলেও নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
চীনা রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। মোমেন বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, চীনের সঙ্গে চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে। আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি ও দক্ষতা হস্তান্তরে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন তিনি।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন, বিরাজমান বর্ষাকালীন সমস্যা এবং বন্যা পরিস্থিতির প্রভাব; বিশেষ করে আকস্মিক বন্যার কথা চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত বন্যা পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য বাংলাদেশে নদীগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ড্রেজিংয়ের বিষয়ে চীনা সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন।