শিরোনাম :

নিরাপত্তার জন্য বন্ধ ছিল, ৩৮ ঘণ্টা পর সচল এনআইডির সার্ভার

নিরাপত্তার জন্য বন্ধ ছিল, ৩৮ ঘণ্টা পর সচল এনআইডির সার্ভার
Admin

দীর্ঘ ৩৮ ঘণ্টা পর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভারের পরিষেবা আবারও চালু করে দেওয়া হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য সাময়িকভাবে এ সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।

 

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বুধবার (১৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম হুমায়ুন কবীর।

 

তিনি বলেন, সাময়িকভাবে এনআইডি সেবা বন্ধ ছিল। এজন্য আমরা প্রথমে দুঃখ প্রকাশ করছি। এনআইডি সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণসহ কিছু কাজের জন্য বন্ধ রেখেছিলাম। রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্যই মূলত সেবা বন্ধ রেখেছিলাম। তবে এখন এনআইডি সেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে।

 

এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের সার্ভার এখন ওপেন। অন্যান্য কাজ চলমান।রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাময়িক বন্ধ করেছিলাম। এছাড়া পত্রিকায় দেখেছি এসময় সার্ভারে থ্রেট আসতে পারে। আমরা চিন্তা করলাম, জাতীয় ডাটাবেজে সার্ভারটা বহন করবো এই ডাটাবেজের যে সার্ভার আমাদের কাছে এটা যদি হ্যাক হয়।

 

তিনি আরো বলেন, আমাদের লোকজন জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে কোনো থ্রেট (হুমকি) নেই। এখান (এনআইডি সার্ভার) থেকে ১১৭টি প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ নাগরিকরাও সেবা পেয়ে থাকেন। সব মানুষের নিরাপত্তার জন্য এটা করেছি। এখন সার্ভার ওপেন আছে সার্ভার থেকে সেবা নিচ্ছি। যদি কোনো ফলস দেখতে পাই, তখন জাতির স্বার্থে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো কী করা যেতে পারে। জাতিকে ফলস কিছুর মধ্যে ফেলতে দেবো না।

 

এনআইডি সেবা বন্ধ করার আগে পাবলিকলি না জানানো প্রসঙ্গে এনআইডি ডিজি বলেন, ১৭১টি প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছি যারা এখান থেকে সেবা নিয়ে থাকে। তবে পাবলিকলি জানাইনি কারণ একটা প্যানিক (আতঙ্ক) সৃষ্টি হতে পারে।

 

এ কে এম হুমায়ুন কবীর আরো বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি এটাকে সচল রাখার। সবাইকে এনআইডি সেবা দেওয়ার জন্য। যারা ব্যাংকে কাজ করেন, ব্যাংকিংসেবা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা দিয়ে থাকি। ১৪ আগস্ট রাত ১২টার দিকে আমরা এটাকে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বুধবার সকালে এটা চালু করা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ থেকে কিছু তথ্য এলো যে, থ্রেট আসতে পারে তখন বন্ধ করেছি।