জীবনের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন নিয়ে পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে মরুর দেশ সৌদি আরবে পাড়ি জমান জয়পুরহাটের রফিকুল ইসলাম। ঋণ তুলে, জমি-জমা বিক্রি করে সৌদিতে যান তিনি। পরিবারের সবার চোখে স্বপ্ন ছিল লাঘব হবে কষ্টের। হাসি ফুটবে সন্তানদের মুখে। কিন্তু সেই হাসি ফুটানোর আগেই মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেলে রফিকুলের পরিবারের আকাশ। সৌদিতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে এখন শোকে স্তব্ধ পরিবার। স্বপ্ন নিয়ে প্রবাসে গেলেও তাকে ফিরতে হচ্ছে নিথর দেহে।
সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া রফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবির রসুলপুর গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে। এক বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমান তিনি। গত ১৩ আগস্ট দুর্ঘটনা গুরুত্বর আহত হয়ে সৌদিতে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ সৌদির তাবারজল জেনারেল হাসপাতালে সংরক্ষিত আছে।
মরহুম রফিকুল ইসলামের শ্যালক ইমরান নাজির বলেন, উনি জমি-জমা বিক্রি করে সৌদিতে গিয়েছেন। অনেক ঋণ করে পাড়ি জমান ওখানে। কোন টাকাই পরিশোধ করতে পারেননি। এই পরিবারটি এখন কীভাবে জীবন অতিবাহিত করবে। উনার দুটি সন্তান রয়েছে। একটি কন্যা সন্তান বয়স ৫ মাস প্রায়। সন্তান তার বাবাকে ও বাবা তার মেয়েকে দেখতে পারলেন না।
তিনি বলেন, উনার মরদেহ আনার সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছি অনলাইনে। একটু সচ্ছলতার জন্য বিদেশে পাড়ি জমালেও নিথর দেহ নিয়ে ফিরতে হবে উনাকে।
বৃদ্ধ পিতা নূরুল ইসলাম ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন। কোন কথা বলছেন না কারো সাথেই, শুধু নীরবে চোখের পানি ফেলছে ছেলে হারানোর বেদনায়। পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে রফিকুলের গ্রামের বাড়ি রসুলপুর।