একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের আরও ১১ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ। এ নিয়ে একদিনে ১৭ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ।
বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির খন্দকার, শাহবাজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ নিয়ামুল, শাহবাজপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য আজহার উদ্দিন, কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহরাফ ইসলাম, খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দিপু মিয়া, কুটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ, কুটি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হাসিব, বিনাউটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য সৈকত আলী, খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য আসিফুল আলম, নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী মো. মমিন সরকার, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী আমিন সুমন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী ছিলেন আদালতের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী। তার মৃত্যুর পর অভিযুক্ত নেতাকর্মীরা ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগঠন নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কাজ। তাই তাদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে সুপারিশ করা হয়েছে।’
এর আগে দেলাওয়ার হোসেন সাইদীর মৃত্যুর পর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ায় বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ বিভিন্ন ইউনিটের ৬ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।