দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যে কোনো সম্পূরক শুল্ক থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট, আমদানি শুল্ক, আয়কর, মূসক ও অন্যান্য করবিষয়ক এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এমন মন্তব্য করেন তারা।
স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, কমিটির সদস্য ও ফিকির পরামর্শক স্নেহাশীষ বড়ুয়া, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি সালাহউদ্দীন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এমএ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালক হারুন অর রশীদ, আমজাদ হোসাইন, মো. নাসের, ড. নাদিয়া বিনতে আমীন, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর, আবুল কাশেম খান ও এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর দেশীয় শিল্পকে এখনকার মতো সুরক্ষা দেয়া সম্ভব হবে না। তাই ২০২৬ সালের আগে কর ও শুল্কছাড় দিয়ে স্থানীয় শিল্পকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য আগামী বাজেটে দেশীয় পণ্যের ওপর কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপ না করার পক্ষে মত দেন জসিম উদ্দিন।
এ সময় তিনি বলেন, কভিড পরিস্থিতির মধ্যেও রফতানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মূলত বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে মোট রফতানি আয় বেড়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মুনাফা বাড়েনি। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটে নতুন করে কোনো শুল্ক-কর আরোপ না করার আহ্বান জানান তিনি। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরকারের নেয়া বিভিন্ন অটোমেশন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তার মূল্যায়নের দাবিও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ও এনবিআরের সাবেক সদস্য মো, ফরিদ উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে নানা সংশোধনের কারণে, ২০১২ সালের ভ্যাট আইনটি এখন সেলস ট্যাক্স আইনে পরিণত হয়েছে। তিনি এ আইনের মৌলিক সংস্কারের সুপারিশ করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা যেন কর কর্মকর্তাদের হয়রানির শিকার না হন, এজন্য অবশ্যই রাজস্ব বোর্ডকে জবাবদিহিতার আওতার আনার আহ্বান জানান তিনি।