কেজি ও লিটারপ্রতি ৫ টাকা মূল্য কমানোর পরও সয়াবিন তেল ও চিনি নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। আর ডিমের দাম কিছুটা কমলেও এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে হলুদ ও রসুনের দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রবিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের আমদানি মূল্য কমে যাওয়ায় নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে খোলা সয়াবিন তেল ১৫৪ টাকা, বোতলজাত ১৭৪ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২৩ টাকা কমিয়ে ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেজিতে ৫ টাকা কমিয়ে খোলা চিনির দাম ১৩০ ও প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরদিন থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
কিন্তু রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকা। আর প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১৭৫ টাকা। সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত দামে তুলনায় খোলা চিনি কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ও প্রতিলিটার সয়াবিন তেলে এক টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী, এজেন্ট, ডিলার ও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় হয়।
এ সময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি রাখা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতি পিস ডিম ১২ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি হালি (৪ পিস) ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। সে ক্ষেত্রে প্রতি পিস ডিমের দাম হয় ১৩ টাকার ওপরে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ২৩০-২৩৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৩০০ টাকা ছিল। আর আমদানি করা হলুদ বিক্রি হয় ২৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ২৩০ টাকা ছিল।
পাশাপাশি প্রতিকেজি দেশি আদা বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা ও আমদানি করা আদা ২২০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা বিক্রি হয়।
এছাড়া এদিন প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৭৫-১৮০ টাকা। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭৮০-৮০০ টাকা। পাশাপাশি কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকা ও তেলাপিয়া প্রতিকেজি বিক্রি হয় ২৫০ টাকা। প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হয় ৪৫০-৫০০ টাকা। আর প্রতি কেজি আইড় মাছ ৮০০ টাকা, দেশি ছোট চিংড়ি মাছ ৮০০-৯০০ টাকা, কাঁচকির গুঁড়া ৫০০-৬০০ টাকা বিক্রি হয়।