দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে দুই মাসের জন্য কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
বর্তমান ফেইসে কয়লা না থাকায় বুধবার সকাল থেকে উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খান মো. জাফর সাদিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এক হাজার ১১৩ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। ওই ফেইস থেকে তিন লাখ ৭৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলনের পর সেগুলো বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। ফেইসের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেইসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য বুধবার খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে।
মো. জাফর সাদিক বলেন, ‘নতুন ফেইসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও চালু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। আশা করা যাচ্ছে সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবরের শেষ নাগাদ নতুন ফেইস থেকে আবারও উত্তোলন শুরু করা সম্ভব।’
তিনি আরও জানান, নতুন ফেইস থেকে প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার টন কয়লা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হলেও বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক।
তিনি জানান, দুই মাসের জন্য কয়লার মজুত থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সংকট হবে না।
প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘বর্তমানে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিন নম্বর ইউনিটটি চালু আছে, যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।
‘ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হয়।’