জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
রোববার সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবি হচ্ছে জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে তিনটি দাবি জানিয়ে আসছি, তবে সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এবার আর আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট তুলে নেব না।’
খুলনার খালিশপুরের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা যমুনার ডিপো রয়েছে। সেখান থেকে ট্যাংক-লরির মাধ্যমে বিভাগে ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের চার জেলায় তেল সরবরাহ করা হয়, তবে ধর্মঘটের কারণে এই ১৪ জেলার পাম্পগুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট প্রস্তুতি সভায় জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। দাবি পূরণ না হলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।