করোনাভাইরাসের তুলনায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মৃত্যুহার বেশি।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) প্রধান ডা. রাজীব বাহল শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তিনি জানান, নিপাহতে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ থেকে ৭০ ভাগ রোগী মারা যান, আর করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এখন গড়ে মারা যান ২ থেকে ৩ ভাগ।
দেশটির কেরালার কোঝিকোড় জেলায় শুক্রবার সর্বশেষ ৩৯ বছর বয়সী একজনের দেহে নিপাহ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ নিয়ে রাজ্যে এ ভাইরাসে ছয়জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ আক্রান্ত ব্যক্তি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, যেখানে ইতোপূর্বে অন্য অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত লোকজন।
কেরালায় ২০১৮ সালের পর এ নিয়ে চারবার নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হলো। প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত ভাইরাসে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে চলতি বছর দুজনের মৃত্যু হয়।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের দপ্তর শুক্রবার জানায়, নমুনা পজিটিভ আসার পর ৩৯ বছর বয়সী ব্যক্তির নিপাহ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তাকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভাষ্য, কেরালায় নিপাহর যে ধরন পাওয়া যাচ্ছে, সেটি বাংলাদেশি ভ্যারিয়েন্ট। বন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের এলাকায় উৎপত্তি হওয়া এ ভ্যারিয়েন্ট মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। এটি কম সংক্রামক হলেও এতে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি।