বদলে যাচ্ছে যশোর রেলস্টেশন। দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করা দুর্ভোগ নিরসন হবে যাত্রীদের। প্ল্যাটফরম থেকে ট্রেনে ওঠানামা করতে যাত্রীদের জুঁকি কেটে যাবে। সবমিলিয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া পাবে ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন যশোর।
এই স্টেশনে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে রেলের বগির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উঁচু করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম। বাড়ানো হচ্ছে এর দৈর্ঘ্যও। দু’টি প্ল্যাটফর্মের ওপরেই দেয়া হবে ছাউনি। রাখা হবে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থাও। স্টেশনের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের প্রবেশে আসছে কড়াকড়ি। চালু করা হচ্ছে এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম। যাতে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের সুযোগ কেউ আর না পায়।
মুিজববর্ষ উপলক্ষে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে পৃথক প্রকল্পের আওতায় এসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে করে একদিকে রেলাযাত্রীদের ভোগান্তি কমবে; অন্যদিকে যুগোপযোগী হবে যশোর রেলওয়ে স্টেশন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরোদমে কর্মযজ্ঞ চলছে। একপাশে চলছে শেডের কাজ, অন্যপাশে প্ল্যাটফর্মের। এসব কাজ তদারকি করছেন যশোর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওয়ালি উল হক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ কাজ শুরু হয়েছে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মটির দৈর্ঘ্য ২শ’২০ ফুট বাড়ানো হচ্ছে। সমপরিমাণ দৈর্ঘ্য বাড়ানো হবে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মেরও। একইসাথে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ছাউনি বাড়ানো হচ্ছে। আর ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নতুন করে দেয়া হবে ছাউনি। আধুনিকায়ন করতে মেরামত করা হচ্ছে ফেঞ্চিং ও বাউন্ডারিওয়াল। টিকিট ব্যতীত কেউই স্টেশন প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন না। এতে করে কেউই আর বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন না বলে জানিয়েছেন ওয়ালি উল হক। আগামী জুন মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
এসব বিষয়ে কথা হয় যাত্রী মনিরুল ইসলাম, খন্দকার আশরাফ, সুলতানা কামাল, রফিকুল ইসলাম, পপি রহমানসহ আরও অন্তত ২০-২৫ জনের সাথে। তারা জানান, বর্তমানে তাদের সমস্যার শেষ নেই। বিশেষ করে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ছাউনি না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে তাদের ট্রেনে ওঠানামা করতে হয়।
তারা আরও জানান, ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার ব্যবস্থা যথাযথ না। একটি ওভার ব্রিজ থাকলেও তার অবস্থা বেহাল। এর বাইরেও বহিরাগতদের আড্ডা থাকায় তারা আতঙ্কিত থাকেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে যশোর রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। একই সাথে একটি ওভারব্রিজ নির্মাণের দাবিও জানান তারা।
এ বিষয়ে যশোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, এসব চাওয়া খুব শিগগির পূরণ হতে যাচ্ছে।