ইতোমধ্যে ‘কেজিএফ ২’ হিন্দি ভার্সনে অনন্য রেকর্ড তৈরি করে ফেলেছে। মাত্র দুই দিনেই ১০০ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে হিন্দিতে। আর বিশ্বব্যাপী দুইদিনের আয়ের পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি রুপি!
‘কেজিএফ’ সিনেমার গল্প একটি স্বর্ণের খনিকে কেন্দ্র করে। জানেন কি, সেই স্বর্ণের খনি বাস্তবেই আছে? চলুন বাস্তবের ওই স্বর্ণের খনি সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেওয়া যাক।
এই খনির নাম কোলার গোল্ড ফিল্ডস বা কেজিএফ। হ্যাঁ, সিনেমার নাম মূলত এই খনির নাম থেকেই দেওয়া হয়েছে। খনিটি রয়েছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের কোলার জেলায়। আর ‘কেজিএফ’ সিনেমাটিও এই কর্ণাটক রাজ্যে নির্মিত। যদিও হিন্দিসহ মোট পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে।
বাস্তবের কেজিএফের আয়তন ৫৮ বর্গকিলোমিটারের বেশি। কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এটি। ইতিহাসবিদদের মতে, খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দিতেই এখানে খনন শুরু হয়। যার ফলে এটিকে বলা হয় ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন স্বর্ণখনি।
ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে কোলার গোল্ড ফিল্ডসে উন্নত ব্যবস্থা সংযোজন হয়। এরপর থেকে এখানে বিপুল স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়েছিল। বিংশ শতকের শেষ দিকে স্বর্ণের দাম কমে যায়। এ কারণে কেজিএফ লোকসানে পড়ে। তাই ২০০১ সালে খনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।