ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য আগামী সপ্তাহে একটি বিল পেশ করবেন। যা অনুমোদিত হলে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দেশটিতে। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জুন) জোটের নেতারাই জানিয়েছেন বিষয়টি। দুই নেতৃস্থানীয় জোটের অংশীদার এক বিবৃতিতে বলেছে, জোটকে স্থিতিশীল করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড আগামী সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দেওয়ার একটি বিল পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা আরও জানিয়েছে, যদি বিলটি পাস হয় তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট নয়, কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন ল্যাপিড। কারণ, জোটের শর্ত অনুসারে, সরকারের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদের অর্ধেক সময় বেনেট ও অর্ধেক সময় ল্যাপিড প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। মতাদর্শগতভাবে বিভক্ত আট-দলীয় জোটটি এক বছর আগে তৈরি হয় এবং এতে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী, যেমন বেনেট, ল্যাপিডের মধ্যপন্থী ইয়েশ আতিদ পার্টি, বামপন্থী ও ইসরায়েলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, আরব ইসলামপন্থী দলের আইন প্রণেতারাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
কিন্তু এই জোটে ফাটল ধরেছে এবং তারা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মেয়াদ শেষ করার জন্য একত্রিত হয়েছিল। ফলে শুরু থেকেই হুমকির মুখে ছিল জোটটি। গত এপ্রিলে ইসরায়েলের ১২০ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় যখন বেনেটের ইয়ামিনা পার্টির একজন সদস্য তার প্রস্থানের ঘোষণা দেন।
আগামী অক্টোবরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে, জোট ভেঙে যাওয়ায় খানিকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন আবারও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে তার লিকুদ পার্টি।