করোনাভাইরাস মহামারি ও বন্যার কারণে দুই দফা পিছিয়ে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
যানজটের কারণে বেলা ১১টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়, যাতে অংশ নেয় ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
প্রথম দিনে হচ্ছে বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা।
দেশের ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা হচ্ছে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১ অক্টোবর। তারপর ব্যবহারিক পরীক্ষা।
সব বিষয়ের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ২ ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং রচনামূলক প্রশ্নের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকবে।
সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদী ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি তপন সরকার।
তিনি বলেন, ‘যে পদ্ধতিতে আমরা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি, সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। কাউকে গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ করছি।’
দেশের রীতি অনুযায়ী এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে, কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
পরে ১৯ জুন পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিলে ১৭ জুন তা স্থগিত করে সরকার। এর আগে গত বছর ৯ মাস পিছিয়ে নভেম্বরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তিন বিষয়ে নেয়া হয় এই পরীক্ষা।
এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। সে হিসাবে গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন কমেছে। গতবার পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৪ জন।
এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান—এসব বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।