যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের মেমফিস শহরে কৃষ্ণাঙ্গ টায়ার নিকোলসকে পিটিয়ে হত্যার জেরে বিশেষায়িত ইউনিট ‘স্করপিয়ন’কে নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ বিভাগ।
নিকোলস হত্যা নিয়ে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের মধ্যে স্থানীয় সময় শনিবার মেমফিস পুলিশের ইউনিটটিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ২৯ বছর বয়সী নিকোলসকে মারধরের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে মেমফিস শহর কর্তৃপক্ষ। এর এক দিন পর স্করপিয়নকে নিষিদ্ধের ঘোষণা আসে, যে ইউনিটে কর্মরত ছিলেন মারধরে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ৭ জানুয়ারি মেমফিসের অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল আরোহী যুবককে লাথি, ঘুষি মারার পাশাপাশি লাঠিপেটা করছিলেন। ওই সময় ‘মা, মা’ বলে কাঁদছিলেন এক সন্তানের জনক নিকোলস।
পুলিশের পোশাক ও খুঁটিতে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজটি প্রকাশের আগেই পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তার (যাদের সবাই কৃষ্ণাঙ্গ) বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত হত্যা, হেনস্তা, অপহরণ, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়।
নিকোলসকে থামানো নিয়ে শুরুতে পুলিশ বলেছিল, বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন যুবক, তবে মেমফিস পুলিশের প্রধান বলেছেন, থামানোর পক্ষে যথাযথ যুক্তি দেখাতে পারেননি কর্মকর্তারা।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের ওপর ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, এমন অবস্থান থেকে অনেক দূরে থাকার পরও নিকোলসকে দৃশ্যত মারধর করা হয়েছে।
মারধরের একপর্যায়ে দুই কর্মকর্তা নিকোলসকে ধরে রাখেন। অন্যজন তার মুখে ক্রমাগত ঘুষি মারতে থাকেন। বাকি পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের না থামিয়ে নীরবে দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।