সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ মাসের শুরু থেকে গতকাল (শুক্রবার) পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ২৮৯ রোগী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও আজ (শনিবার) তা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৪৭৭ জন।
তাছাড়া গত কয়েকদিনে একজন করে ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়। আবার মৃত্যুশূন্যও ছিল বেশ কয়েকদিন। কিন্তু শনিবার দেশজুড়ে চারজনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জুন সর্বোচ্চ দুইজন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু দেখেছিল দেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ৪৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪০২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
বর্তমানে সারা দেশে ১ হাজার ১৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯১১ ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ২২৭ জন।
এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৩ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু-বিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখায় দেশজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তদের এক তৃতীয়াংশই রাজধানীর ঢাকার বাসিন্দা। তাই জনবহুল এ শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তা হবে ভয়াবহ।
অবশ্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আজ (রোববার) থেকেই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান পদায়ন করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের এ সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দিয়ে রোববার থেকেই মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করতে নির্দেশনা দেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৬০৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৫৭৫ জন ও ঢাকার বাইরে সারা দেশে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৮ জন।
ডেঙ্গু থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৩২ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৬৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৯৫ জন।