মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন পক্ষের উদ্বেগ সত্ত্বেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনে গুচ্ছবোমা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটি এ ঘোষণা দেয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৮০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের কাছে গুচ্ছবোমা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ইউক্রেনে আমেরিকার দেয়া সহায়তা ৪ হাজার কোটি ডলার ছাড়াল।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনে হামলাকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ আখ্যা দেয়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো বর্ধিত প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, পাল্টা হামলার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ সময়ে গুচ্ছবোমার চালান যাবে ইউক্রেনে।
বিশ্বের শতাধিক দেশে গুচ্ছবোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ, তবে রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র গুচ্ছ অস্ত্রের সনদে সই করেনি। এ সনদ অনুযায়ী গুচ্ছবোমা উৎপাদন, মজুত, ব্যবহার ও হস্তান্তর নিষিদ্ধ।
গুচ্ছ অস্ত্র বা গুচ্ছবোমা থেকে সাধারণত ছোট ছোট অনেক বোমা ছোড়া হয়, যা বড় পরিসরে নির্বিচার প্রাণহানির কারণ হতে পারে। এসব বোমার মধ্যে যেগুলো অবিস্ফোরিত থাকে, সেগুলো সংঘর্ষ শেষ হওয়ার কয়েক দশক পরও বিপদের কারণ হতে পারে।