রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাগোষ্ঠী ওয়াগনার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে বলে বিবিসিকে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
দুই সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে নাইজারে রাষ্ট্রক্ষমতার দখল নেন সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা। তারা প্রতিবেশী দেশ মালিতে থাকা ওয়াগনারের সাহায্য চেয়েছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এমন বাস্তবতায় ব্লিঙ্কেন বলেন, তিনি মনে করেন না রাশিয়া কিংবা ওয়াগনার নাইজারে অভ্যুত্থানে উসকানি দিয়েছে, তবে পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে ওয়াগনারের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আছে যুক্তরাষ্ট্রের।
বিবিসির ফোকাস অন আফ্রিকা অনুষ্ঠানে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি মনে করি নাইজারে যা ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে, তা রাশিয়া কিংবা ওয়াগনারের সৃষ্ট নয়, তবে…তারা পরিস্থিতির সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেছে।
‘ওয়াগনার গোষ্ঠী যেখানেই গেছে, সেখানেই মৃত্যু, ধ্বংসযজ্ঞ ও শোষণের ঘটনা ঘটেছে। অনিরাপত্তা বেড়েছে, কমেনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, বিভিন্ন দেশে ওয়াগনার যা করেছে, তার পুনরাবৃত্তি হয়েছে পশ্চিম আফ্রিকায়। তারা নেতিবাচকতা ছাড়া আর কিছুই নিয়ে আসতে পারেনি।
পশ্চিম আফ্রিকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দমনে নাইজারে সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।