ভিয়েতনাম সফরে গিয়ে দেশটির সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তিতে সইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চীনের আন্তর্জাতিক প্রভাব খর্বের চেষ্টা করছে না আমেরিকা।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সর্বশেষ দল ভিয়েতনাম ছাড়ার অর্ধশতকের বেশি সময় পর রোববার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির রাজধানী হ্যানয়ে যান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেখানে যে চুক্তিতে সই করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, তার ফলে সাবেক দুই শত্রুভাবাপন্ন দেশের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভিয়েতনামের সঙ্গে সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারত্ব যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে সম্পর্কে বড় ধরনের অগ্রগতি। এটি দুই বছর ধরে ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের অব্যাহত প্রচেষ্টার চূড়ান্ত রূপ। এশিয়ায় চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভিয়েতনামকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র।
আমেরিকার সঙ্গে অংশীদারত্ব চীনের পুরোনো ও পরীক্ষিত অনুগত মিত্র ভিয়েতনামের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক বন্ধন।
হ্যানয়ে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতার উদ্দেশ্য চীনকে আটকে রাখা কিংবা বিচ্ছিন্ন করা নয়। যুক্তরাষ্ট্র চায় আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে।
বিবিসির এক প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা অনেক বেশি স্নায়ুযুদ্ধের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছি। বিষয়টি সেই রকম নয়। এটি (চীনের মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও স্থিতিশীলতার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি চাই অর্থনৈতিকভাবে সফল হোক চীন, তবে আমি তাদের নিয়ম মেনে সফল দেখতে চাই।’