ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ইরান থেকে মুক্ত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ নাগরিক কাতারের দোহা হয়ে দেশের পথে রওনা হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতির বরাতে মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়া ব্যক্তিরা রওনা হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানে বন্দি পাঁচজন নিরপরাধ আমেরিকান অবশেষে দেশে ফিরে আসছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তেহরান ছাড়া আমেরিকান পরিবারের দুই সদস্যসহ পাাঁচজনকে নিয়ে বিমান যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। সামরিক বাহিনী তাদের চিকিৎসার প্রস্তাব দেবে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের ৫ জন করে মোট ১০ বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি কাতারের সমঝোতায় একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইরানের জব্দ করা ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদ অবমুক্ত করা হয়।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রেস টিভি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের আটক পাঁচজন ইরানিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন তেহরানে পৌঁছেছেন। বাকিরা ইরানে ফিরছেন না।
৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ দুই দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক বিদ্যমান। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রোধ করার জন্য একটি চুক্তি প্রত্যাহার করে পুনরায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।
ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ওই কর্মসূচির লক্ষ্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইরান।
সম্প্রতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্দি বিনিময় শুরু হবে বলে ইঙ্গিত দেয় তেহরান। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশটির জব্দ করা ৬০০ কোটি ডলারের সম্পদের অবমুক্ত করাও কথাও জানানো হয় তাদের পক্ষে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি তখন বলেছিলেন, বন্দি বিনিময় এবং জব্দ করা অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আলাদা ইস্যু।
তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে বলা হয়, ওই অর্থের বিনিময়ে ইরানে আটক পাঁচজন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিককে মুক্তি দেবে তেহরান। অন্যদিকে একই সংখ্যক ইরানি বন্দিকে মুক্তি দেবে ওয়াশিংটন।
এরই অংশ হিসেবে ইরান গত ১০ আগস্ট তেহরানের এভিন কারাগার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ নাগরিককে বের করে স্থানীয় হোটেলে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।